ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত ৫ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ না পাওয়ায় তারা জামানত হারান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ০৫ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের এ উপজেলায় ১ লাখ ৬৯ হাজার একজন ভোটার ছিল। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৪৮৪ জন ভোটার চেয়ারম্যান পদে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। জামানত ফিরে পেতে এ পদের একজন প্রার্থীকে অন্তত ৮ হাজার ১৭৩ ভোটের বেশি পাওয়ার প্রয়োজন ছিল।
ঘোষিত ফলাফলে ৫৪ হাজার ৯২১ ভোট পেয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী জেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এএসএম সহিদ উল্ল্যাহ মজুমদার পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৩৪৯ ভোট। এছাড়া এ পদের টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কাজী জায়েদ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ৭৯৯ ভোট, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. আবদুল হালিম ৬৬৩ ভোট এবং মুকুট প্রতীকের প্রার্থী মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৫২৭ ভোট। এ হিসেবে পরাজিত চার চেয়ারম্যান প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
অন্যদিকে এ উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯ হাজার ৩২৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ হিসেবে জামানত ফিরে পেতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অন্তত ৮ হাজার ৮৯৮ ভোটের বেশি পাওয়ার প্রয়োজন ছিল।
ঘোষিত ফলাফলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৯ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে কলস প্রতীকের প্রার্থী বিবি জোলেখা নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নাছিমা আক্তার সেলাই মেশিন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ১১৪ ভোট।
এই হিসেবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা আক্তারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অপরদিকে নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে এনামুল হক মজুমদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অভিষেক দাশ বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচনে সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছে। বিধি অনুযায়ী প্রার্থীর নির্বাচনি এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
টিএইচ